রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা বাজার পশুর হাটের খাস কালেকশনে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে রাজস্ব হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। রশিদ জালিয়াতির মাধ্যমে টোলের অর্ধেক টাকা যাচ্ছে সিন্ডিকেটের পকেটে। তাদের বাঁচাতে খাস কালেকশন সংক্রান্ত কোন তথ্যই দেননি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী।
জানা গেছে, ১৪২৯ বাংলা সনে ফুলতলা পশুর হাটটি প্রায় অর্ধকোটি টাকায় ইজারা গিয়েছিল। তবে রহস্য জনক কারণে কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ার অজুহাতে চলিত বাংলা সনে (১৪৩০) জুড়ী উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুর হাট ফুলতলা বাজার ইজারা দেওয়া হয়নি। প্রতি শনিবার এই বাজারে পশুর হাট বসে। এছাড়া প্রতি মঙ্গলবার কাচা বাজারও বসে। বিগত ১লা বৈশাখ থেকে উপজেলা ভূমি প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে ফুলতলা বাজার পশুর হাটের টোল (খাস কালেকশন) আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়িসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার বিদ্যাধন সিংহ, অফিস সহায়ক সমর কান্তি দে ও হুরমান আলীর অসাধু সিন্ডিকেট খাস কালেকশনে (টোল) আদায় করা টাকার নয়-ছয় করছেন। তারা রশিদ জালিয়াতির মাধ্যমে টোলের অর্ধেক টাকাই পকেটস্থ করছে। ফুলতলা বাজারের পশুর হাটে প্রতি হাটবারে সর্বনি¤œ ৫০ হাজার টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকায় পর্যন্ত গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি হাটবারে দেড়/দুই লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও তারা নামমাত্র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বাকিটা অসাধু সিন্ডিকেট ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে।
সূত্র জানায়, সরকারি রাজস্ব লুটের মুল কারিগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) সমর কান্তি দে। তিনি হাটের একটি ঘরের টেবিলে বসে দুই সহযোগি নিয়ে টোল আদায় করেন। তার টেবিল বেষ্টিত থাকে স্থানীয় দালালগোষ্ঠী দ্বারা। তাদের মাধ্যমে ক্রেতার সাথে গোপন লেনদেন সম্পন্ন হলেই তিনি কম মূল্য দেখিয়ে রশিদ হস্তান্তর করেন ক্রেতাদের। এছাড়া স্কেন করা রশিদ ধরিয়েও সরকারী রাজস্ব পকেটস্থ করার অভিযোগ রয়েছে। এতে সরকার ব্যাপক পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারীকে ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) বিদ্যাধন সিংহের নিকট থেকে খাসকালেকশনের হিসাব বুঝে নিচ্ছেন। প্রতি হাটবারে কি পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে, কিভাবে কোষাগারে জমা হয় এবং টোল আদায়ে রাজস্ব ফাঁকির ব্যাপারে জানতে চাইলে এসিল্যান্ড রতন কুমার অধিকারী খাসকালেকশন সংক্রান্ত কোন তথ্যই দেননি। কোনভাবে তথ্য দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।